হযরত মুসা (আঃ) এর লাঠির মুজিজা - হজরত মুসা (আঃ) নবীর জীবন কাহিনী।

নতুন অচেনা পথে চলতে চলতে মাদায়েন নামক একটি নতুন জনপদে তিনি পৌঁছে গেলেন। এখানে বাইবেলের বর্ণনামতে রুয়েন বা জ্যাকব এবং কোরানের বর্ণনামতে হজরত শুয়াইব (আ.)-এর নিকট আশ্রয় নিলেন। 

দীর্ঘ আটবছর এখানে পশুপালন করার পর আশ্রয়দাতা হজরত শুয়াইব (আ.)-এর কন্যা সফুরাকে বিবাহ করলেন। এরপর তারা উভয়ে মিশরের পথে যাত্রা করলেন। কারণ মিশরে তখনও বনী ইসরাইলদের উপর ফেরাউন অত্যাচার চালাচ্ছেন। 

হযরত মুসা (আঃ) এর লাঠির মুজিজা - হজরত মুসা (আঃ) নবীর জীবন কাহিনী।

তার কবল থেকে তাদের উদ্ধার করতেই হবে। তারা যখন নির্জন পাহাড়ী পথ অতিক্রম করছিলেন সেই সময় দিন ফুরিয়ে রাত হয়ে গেল। গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে হজরত মুসা (আ.) স্ত্রীকে নিয়ে খুব সমস্যায় পড়লেন। 

কিভাবে রাতটা কাটাবেন ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না। এমন সময় তিনি দেখতে পেলেন পাহাড়ের গায়ের গাছপালার মধ্যে থেকে একটা উজ্জ্বল এবং তীব্র আলোকছটা বেরিয়ে আসছে। তিনি স্ত্রীকে দূরে রেখে সেই আলোর কাছে যেতেই তার নাম ধরে কেউ যেন ডেকে উঠলেন। 

তিনি পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই শুনতে পেলেন যে, ঈশ্বর তাকে ডাকছেন। শুধু তাই নয় সেই সময় তিনি মহান আল্লাহপাকের নিকট থেকে ওহি বা প্রত্যাদেশ পেলেন। এভাবে সম্পূর্ণ হল তার নবুওয়তের অভিষেক। তিনি নবী হিসাবে মনোনীত হলেন। 

এবার আল্লাহপাক তাকে আদেশ করলেন মিশরে ফিরে গিয়ে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে বনী ইসরাইলদের উদ্ধার করতে। আর সাহায্যর জন্য দিলেন কিছু মুজিজা বা অলৌকিক ক্ষমতা। 

যেমন তার হাতের লাঠিটা প্রয়জন মতো অজগর সাপে পরিণত হওয়া এবং বিরাট শক্তিসহ আপনা থেকেই শত্রুকে আঘাত করা ইত্যাদি। 

এছাড়া একটা হাতকে সুন্দর উজ্জ্বল আলো বিচ্ছুরণ করার ক্ষমতা প্রদান করা প্রভৃতি। এরপর বিরাট সাহস নিয়ে হজরত মুসা (আ.) পরদিনই মিশর অভিমুখে দ্রুত গতিতে যাত্রা করলেন।

আরও পড়ুন।