ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ সমূহ।

ইহুদিরা নির্দিষ্ট কোনো একটি কিতাবকে তাদের ধর্মগ্রন্থ হিসাবে মানে না। বরং বেশ কয়েকটি কিতাবকে পবিত্র গ্রন্থ হিসাবে মান্য করে। এই কিতাব গুলোকে সহীফা বলে। এই সহিফা গুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন মানুষের দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। 

তবে ওই কিতাব গুলোর মধ্যে হজরত মূসা (আঃ) কর্তৃক আনীত কিতাবই সব থেকে সহীহ এবং পবিত্র এবং এটিই কেবলমাত্র আল্লাহ পাকের নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়েছিল। হিব্রুভাষায় একে বলা হয় ‘তোরা’ বা ঐশিবাণী। 

ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ সমূহ।

এই কিতাব গুলো বর্তমানে বাইবেলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে “ওল্ড টেস্টামেন্ট” নামে অভিহিত হয়েছে। একে ‘আহাদ নামাহ কদীম' ও বলা হয়। 

প্রামাণ্য বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় যে, এই “আহাদ নামাহ কদীম বা ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রথম পাঁচটি অধ্যায়কে ইহুদিরা তওরাত হিসাবে বিশেষভাবে বিশ্বাস করে। 

তারা আরো বিশ্বাস করে যে এই অংশের মধ্যেই আছে আহকামে আশারাহ বা দশটি পবিত্র হুকুম যা মহান আল্লাহপাক নিজ হাতে শ্লেট বা পাথরের উপর লিখে হজরত মূসার হাতে অর্পণ করেছিলেন।

এছাড়া আরো দুটি গ্রন্থকে তারা পবিত্র ও মূল্যবান হিসাবে বিবেচনা করে। সেগুলি হল— (১) তালমুদ এবং (২) প্রোটোকল।

ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তালমুদ।

তালমুদ-এর অর্থ হল ইহুদি শরীয়ত। ইহুদিদের অন্যতম শাখা ‘ফিররিসিন’-এর ধারণা অনুযায়ী তালমুদ অতি পবিত্র গ্রন্থ। এই কিতাবের বর্ণনা মতে ইহুদিরা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে সেরা জাতি।

ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ প্রোটোকল।

এটি একটি ইংরেজী শব্দ। এর অর্থ হল চুক্তিপত্র। ১৮৯৭খ্রি. সুইজারল্যান্ডের একটি শহরে বিশ্বের সমস্ত ইহুদিশাখাগুলোর নেতা ও পণ্ডিতবর্গ একটি সম্মেলনে মিলিত হয়ে এই প্রোটোকল প্রস্তুত করে। 

এই চুক্তিপত্র অনুযায়ী ইহুদিরা একদিন সমগ্র বিশ্বের মালিক হবে। এই প্রোটোকলকেও ইহুদিরা পবিত্র জ্ঞান করে এবং এর বক্তব্যের উপর জোরালো বিশ্বাস রাখে।

আরও পড়ুন।