নামাজ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত | কুরআনে সালাত সংক্রান্ত আয়াত।

নামাজ বা সালাত সম্পর্কে কিছু কুরআনের আয়াত নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আশাকরি নামাজ বা সালাত সম্পর্কে এই আয়াত গুলি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। 

আমরা নামাজ বা সালাত সম্পর্কে যে সমস্ত বিষয় গুলো জানি, সেগুলো প্রাই হাদিস গ্রন্থ থেকে। আজ কুরআন থেকে নামাজ বা সালাত সম্পর্কে জানবো ইনশাল্লাহ। 

নামাজ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত | কুরআনে সালাত সংক্রান্ত আয়াত।

নবী ও রসূলদের নামাজ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত।

১৯ নং সূরা আয়াত নং ৩১ ঈসা (আঃ) বলছেন- ‘আর যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন এবং যতদিন আমি জীবিত থাকি তিনি আমাকে সালাত ও যাকাত আদায় করতে আদেশ করেছেন’।

৩ নং সূরার ৪৩ নং আয়াতে আল্লাহ্‌ মারিয়াম কে উদ্দেশ্য করে বলছেন- ‘হে মারইয়াম, তোমার রবের জন্য অনুগত হও। আর সিজদা কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর’। এই আয়াত থেকে এও প্রমাণ হয় যে মহিলারা মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে।

৩১ নং সূরার ১৭ আয়াতে লুকমান (আঃ) তার ছেলেকে উপদেশ করছেন- ‘হে আমার প্রিয় বৎস, সালাত কায়েম কর, সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্য ধর। নিশ্চয় এগুলো অন্যতম দৃঢ় সংকল্পের কাজ’।

২ নং সূরার আল-বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে আল্লাহ্‌ মুমিনদের উদ্দেশ্য বলছেন- হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।

নামাজের সময় সম্পর্কে কুরআনের আয়াত।

১১ নং সূরার ১১৪ নং আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন- আর তুমি সালাত কায়েম কর দিবসের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে*। নিশ্চয়ই ভালকাজ মন্দকাজকে মিটিয়ে দেয়। এটি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ। অর্থাৎ- ফজর, আশর আর মাগরিবের নামাজ।

২০ সূরার ১৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে- সুতরাং এরা যা বলে তার উপর ধৈর্য ধারণ কর এবং তাসবীহ পাঠ কর তোমার রবের প্রশংসা বর্ণনার মাধ্যমে, সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং তাসবীহ পাঠ কর রাতের কিছু অংশে ও দিনের প্রান্তসমূহে, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার। অর্থাৎ- ফজর, আশর, এশা, ও যোহর এর সালাত।

১৭ নং সূরার ৭৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে- আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।

নামাজ বা সালাত পড়ার নিয়ম কুরআন অনুযায়ী।

২ নং সূরার ১২৫ নং আয়াতে আল্লাহ্‌ আমাদেরকে নামাজের নিয়ম স্মরণ করিয়ে বলছেন- আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং (আদেশ দিলাম যে,) ‘তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর’। আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ‘ইতিকাফকারী ও রুকূকারী-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর’। 

এই আয়াত থেকে প্রমাণ হয় যে- আমাদেরকে মাকামে ইবরাহীম অর্থাৎ কাবা ঘরের ইমাম যে ভাবে নামাজ পড়ে, আমাদেরকে সেই ভাবে নামাজ পড়তে হবে।

কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুণ কুরআন থেকে কমেন্টের উত্তর দেওয়া হবে ইনশাল্লাহ।

এই আর্টিকেল গুলো পড়ুন।