হায়েজ অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ ও স্ত্রী সহবাস সহ আরও আমল।

হায়েজ সম্পর্কে ২ নং সূরা আল-বাকারা / আয়াত-২২২ 

আর তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা হায়েযকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে।

হায়েজ অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ ও স্ত্রী সহবাস সহ আরও আমল।

হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস।

উপরের আয়াতের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে- তোমরা হায়েযকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। এখানে আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারছি যে হায়েজ অবস্থাই স্ত্রী সহবাস তো দুরের কথা, আমাদের কে স্ত্রীর নিকটবর্তী হতে বারন করা হয়েছে। আর হায়েজ অবস্থাই স্ত্রীর সঙ্গে বেশী কথাবার্তায় লিপ্ত হওয়া যাবে না। কারণ এই সময় স্ত্রিদের মানসিক অবস্থা ভালো থাকে না, তাই যে কোন ছোট বিষয়েও ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে।

হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়ার বিধান।

৫৬ নং সূরা আল-অয়াকিয়া, আয়াত-৭৭,৭৮,৭৯ নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন,যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে,কেউ তা স্পর্শ করবে না পবিত্রগণ ছাড়া। এই আয়াতে আমরা বুঝতে পারি যে অপবিত্র অবস্থা কুরআন স্পর্শ করা যাবে না, কিন্ত কোন সূরা মুখস্থ থাকলে তেলায়াত করতে পারবে।

হায়েজ অবস্থায় রোজার বিধান।

২ নং সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৮৫ রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।

২-২২২ আর তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। এই আয়াতে হায়েজ মহিলাদের জন্য কষ্ট বলা হয়েছে অর্থাৎ এক প্রকার অসুস্থ, তাই অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে।

এই আর্টিকেল গুলো পড়ুন।