হাশরের ময়দানে ৭৩ কাতার | জান্নাতি দল কোনটি?

বিসমিল্লাহ্‌- আমরা, মুসলিমরা বিভিন্ন ফেরকার মধ্যে অবস্থান করছি। কিন্ত আমরা কি কোন সময় চিন্তা করেছি আমাদের মধ্যে কোন ফেরকাটি সঠিক। আমরা যে ফেরকার মধ্যে অবস্থান করি সেই ফেরকা কে সঠিক মনে করি। যেমন সকল ধর্মের মানুষ মনে করে যে তাদের ধর্ম সঠিক আর বাকি সকল ধর্ম ভুল। 

তাই আমাদেরকে সঠিক নির্ণয় করতে হবে যে কোন ফেরকাটি সঠিক আর কোন ফেরকাটি ভুল। এর জন্য আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন, আল-ফুরকান পার্থক্যকারী কিতাব আল-কুরানের সাহায্য নিয়ে বিষয়টি আলোচনা করা হব। ইনশাল্লাহ।

হাশরের ময়দানে ৭৩ কাতার | জান্নাতি দল কোনটি?

জান্নাতি দল কোনটি?

৫-৪৮) আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর উপর তদারককারীরূপে। সুতরাং আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা কর এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। 

(১)তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরীআত ও স্পষ্ট পন্থা এবং (২)আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদেরকে এক উম্মত বানাতেন। (৩)কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং (৪)তোমরা ভাল কাজে প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহরই দিকে তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তনস্থল। (৫)অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন, যা নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে। 

বুঝতে সুবিধার জন্য উপরের আয়তটিকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 

১) তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরীআত ও স্পষ্ট পন্থা। অর্থাৎ এই কুরআনের মধ্যে আল্লাহ্‌ আমাদের জন্য শরীআত ও স্পষ্ট পন্থা নির্ধারণ করে রেখেছেন।

২) আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদেরকে এক উম্মত বানাতেন। অর্থাৎ আল্লাহ্‌ চাইলে আমাদেরকে এক উম্মত বানাতে পেরতেন কিন্ত তিনি আমাদেরকে বিভিন্ন ফেরকায় ভাগ করে দিয়াছেন এর অর্থ ফেরকা খারাপ কিছু না এটা আল্লাহর পরীক্ষা।

৩) কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। অর্থাৎ আমাদেরকে যে ফেরকার মধ্যে দিয়ে পাঠিয়েছেন,  সেই ফেরকার মাধ্যমে আমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে কে ফেরকার অনুসরন করছে আর কে আল-কুরানের অনুসরন করছে।

৪)  তোমরা ভাল কাজে প্রতিযোগিতা কর। অর্থাৎ আল-কুরানে যে ভালো কাজের কথা গুলো বলা হয়েছে, সেই ভালো কাজ গুলো প্রতিযোগিতা করে করতে হবে।

৫) অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন, যা নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে। অর্থাৎ আমরা যেমন জরে আমিন না আস্তে আমিন, পায়ে পা দেওয়া না দেওয়া নিয়ে, রফায়েদাইন নিয়ে ইত্যাদি, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা সমাজে সমাজে, এক আলিম আর এক আলিমের সঙ্গে তাণ্ডব খাড়া করি। এই সমস্ত মাস্লামাসায়েল সম্পর্কে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ আমাদেরকে জানিয়ে দিবেন। আর তারাই হবে জাহান্নামের অধিবাসী যারা মতবিরোধ করে।

৩ নং সূরা আল-ইমরানের আয়াত নং ১০০ দেখুন।

৩-১০০) (১)হে মুমিনগণ, (২)যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তোমরা যদি তাদের একটি দলের আনুগত্য কর, (৩)তারা তোমাদের ঈমানের পর তোমাদেরকে কাফির অবস্থায় ফিরিয়ে নেবে।

১) হে মুমিনগণ, অর্থাৎ এখানে আল্লাহ্‌ মুমিনগণকে সম্বোধন করে বলছে।

২) যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তোমরা যদি তাদের একটি দলের আনুগত্য কর, অর্থাৎ আহলে হাদিস, আহলে সুন্নাত ইত্যাদি দল বা ফেরকার কথা বলা হয়েছে এরা সকলেই আল্লাহর কিতাব প্রাপ্ত। তোমরা যদি তাদের একটি দলের আনুগত্য কর তাহলে কি হবে দেখুন। 

৩) তারা তোমাদের ঈমানের পর তোমাদেরকে কাফির অবস্থায় ফিরিয়ে নেবে। অর্থাৎ ঈমান আনার পর যদি সেই ফেরকার আনুগত্য করেন তাহলে সেই ফেরকার আলিমগন আপনাকে কাফির বানিয়ে দিবে। কারণ সকল ফেরকার আলিমগন আল্লাহর কিতাব আল-কুরআনকে সাইডে রেখে তাদের নিজেদের কিতাব থেকে শরীআত কায়েম করে। 

এই আয়াত দুটি থেকে আমরা যা শিখলাম- 

১) কুরআনের মধ্যে আল্লাহ্‌ আমাদের জন্য শরীআত ও স্পষ্ট পন্থা নির্ধারণ করে রেখেছেন।

২) আল্লাহ্‌ চাইলে আমাদেরকে এক উম্মত বানাতে পেরতেন কিন্ত তিনি আমাদেরকে বিভিন্ন ফেরকায় ভাগ করে দিয়াছেন এর অর্থ ফেরকা খারাপ কিছু না এটা আল্লাহর পরীক্ষা।

৩) আমাদেরকে যে ফেরকার মধ্যে দিয়ে পাঠিয়েছেন,  সেই ফেরকার মাধ্যমে আমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে কে ফেরকার অনুসরন করছে আর কে আল-কুরানের অনুসরন করছে।

৪) আল-কুরানে যে ভালো কাজের কথা গুলো বলা হয়েছে, সেই ভালো কাজ গুলো প্রতিযোগিতা করে করতে হবে।

৫) ঈমান আনার পর যদি সেই ফেরকার আনুগত্য করেন তাহলে সেই ফেরকার আলিমগন আপনাকে কাফির বানিয়ে দিবে। কারণ সকল ফেরকার আলিমগন আল্লাহর কিতাব আল-কুরআনকে সাইডে রেখে তাদের নিজেদের কিতাব থেকে শরীআত কায়েম করে। 

আশাকরি জান্নাতি দলে আমরাও অংশ গ্রহণ করব ইনশাল্লাহ।

কমেন্ট করে প্রশ্ন করুণ ,আল্লাহর কিতাব আল-কুরআন থেকে উত্তর দেওয়া হবে।

এই আর্টিকেল গুলো পড়ুন।