কাফের কাকে বলা হয়।

যে সকল ব্যক্তি কুরআনের অধিকাংশ আয়াতকে অস্বীকার করে বা মানুষের কাছে গোপন করে, সেই ব্যক্তি কে কাফের বলা হয়। কাফের একটি আরবী শব্দ। কাফের কথার বাংলা অর্থ- অস্বীকার কারী বা গোপন কারী। 

ধরুন কোন ব্যক্তি কুরআনের একটি আয়াত অস্বীকার করলো বা জানা সর্তেও মানুষের কাছে গোপন করলো। এই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি কুফরি করলো, এখন ওই ব্যক্তি কে কাফের বলা যাবে না। কারণ ওই ব্যক্তি একটি বা দুটি আয়াত জানা অজানা কারণে অস্বীকার করেছে বা গোপন করেছে।

কিন্ত যদি ওই ব্যক্তি একটি, দুটি, তিনটি, চারটি, পাঁচটি, অর্থাৎ একের পর এক আয়াত অস্বীকার করে বা জানা সর্তে মানুষের কাছে গোপন করে, এই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি একের পর এক কুফরি করার কারণে কাফেরে পরিণত হবে।

কোন ব্যক্তি যদি এই রকম আচরণ করে তাহলে ওই ব্যক্তি কে কাফের বলা যাবে। আর এই কাফের ব্যক্তি হতে, আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

কাদের কে কাফের বলা যাবে না।

হিন্দু, খ্রিস্টান, ইহুদি বা মানুষের লিখা হাদিস গ্রন্থ অস্বীকার কারী, কোন ব্যক্তি কে কাফের বলা যাবে না। কেবল মাত্র কুরআন প্রাপ্ত সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি যদি একের পর এক আয়াত কুফরি (অস্বীকার বা গোপন) করে, তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে, অন্যথা আর কাউ কে কাফের বলা যাবে না।

সমস্ত কথা গুলোর প্রমাণ স্বরূপ কুরআনের কিছু আয়াত বাংলা অনুবাদ সহ নীচে দেওয়া হয়েছে। নীচের আয়াত গুলো বুঝে পড়ার চেষ্টা করুণ। 

কাফের কাকে বলা হয়।

কাফের সম্পর্কে কুরআনের আয়াত।

আর তোমাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারীস্বরূপ আমি যা নাযিল করেছি তার প্রতি তোমরা ঈমান আন এবং তোমরা তা প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না। আর তোমরা আমার আয়াতসমূহ সামান্যমূল্যে বিক্রি করো না এবং কেবল আমাকেই ভয় কর। ২-৪১

নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে এবং কাফের অবস্থায় মারা গেছে, তাদের কারো কাছ থেকে যমীন ভরা স্বর্ণ বিনিময়স্বরূপ প্রদান করলেও গ্রহণ করা হবে না, তাদের জন্যই রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব, আর তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। ৩-৯১

কেমন করে আল্লাহ সে কওমকে হিদায়াত দেবেন, যারা ঈমান আনার পর কুফরী করেছে, আর তারা সাক্ষ্য দিয়েছে যে, নিশ্চয় রাসূল সত্য এবং তাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণ এসেছে। আর আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না। ৩-৮৬

মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে যদি তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ভয়ের আশঙ্কা থাকে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন এবং আল্লাহর নিকটই প্রত্যাবর্তন। ৩-২৮