সাধারণত লাভ জিহাদ কথাটি ব্যবহার করে থাকে ভারতবর্ষের কিছু রাজনৈতিক বীর, আর এই রাজনৈতিক বীরদের প্রভাবে কিছু মিডিয়াও এই লাভ জিহাদ কথাটি ব্যবহার করে।
যদিও মুসলিমদের কুরআন ও হাদীস শরীফে এই লাভ জিহাদ কথাটি কোথাও ব্যবহার নেই। লাভ জিহাদ কথাটি রাজনৈতিক নেতাদের একটি ভালো অস্ত্র এর মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদাইকে আকৃষ্ট করা হয়।
লাভ জিহাদ শয়তানের চক্রান্ত।
যখন কোন মুসলিম ছেলে বা মেয়ে ও কোনো হিন্দু মেয়ে বা ছেলে একে অপরকে ভালোবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তখন কিছু রাজনৈতিক নেতা এই বিবাহকে লাভ জিহাদ বলে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। যদি মুসলিমদের কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী দেখা হয় তাহলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে প্রেম সম্পূর্ণ নিষেধ।
আর যদি কেউ বিবাহ বন্ধনের আগে প্রেমে লিপ্ত হয় তাহলে এর জন্য কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা কুরআন ও হাদীসের মধ্যে পাওয়া যায়। আর যে ব্যাক্তি বিবাহ বন্ধনের আগে প্রেমে লিপ্ত হয় সেই ব্যক্তি আসলেই ইসলামের অনুসরণ করছে না। এবার প্রশ্নও হচ্ছে যে ইসলামের অনুসরণ করে না সেই ব্যক্তি কি ভাবে ইসলামের হয়ে জিহাদ করতে পারে?
ভারত ও বাংলাদেশে লাভ জিহাদের পরিণতি।
ইসলাম বা হিন্দুধর্ম গ্রন্থের মধ্যে কোথাও ভিন্নধর্মী কোন ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে প্রেম করার জন্য উৎসাহিত করা হয় না। আবার ইস্কুল কলেজেও ভিন্নধর্মী ছেলে বা মেয়েদের সঙ্গে প্রেম করার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয় না।
তাহলে এবার প্রশ্নও উঠতেই পারে যে এই কার্যকলাপের জন্য ছেলে বা মেয়েদেরকে উৎসাহিত করা হয় কথা থেকে? এর উত্তর জানার জন্য আমাদের ভারতবর্ষের সিনেমা জগতের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। সত্যি এটাই যে ভিন্নধর্মী ছেলে বা মেয়েদের প্রেম করার শিক্ষা ভারতবর্ষের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির থেকে দেওয়া হয়।
এই আর্টিকেল গুলি পড়ুন।
0 $type={blogger}