আমরা কেন হাদীস মানতে বাধ্য।

আমরা অবশ্যই হাদীস মানতে বাধ্য। কিন্ত কোন হাদীস গুলো মানতে বাধ্য? যে হাদীস গুলো আল্লাহ কুরআনের মধ্যে নাজিল করেছেন, আমরা সেই হাদীস গুলো মানতে বাধ্য। 

যেমন- মূসার হাদিস তোমার কাছে পৌঁছেছে কি? (এর পর কুরআনেই মুসার হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে।) 79:15

তোমার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের হাদিস এসেছে? (এর পর কুরআনেই ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে।) 51:24

আচ্ছন্নকারী কিয়ামাতের হাদিস তোমার কাছে পৌঁছেছে কি? (এর পর কুরআনেই আচ্ছন্নকারী কিয়ামাতের হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে।) 88:1 ইত্যাদি।।

আল্লাহর নাজিল করা এই সকল হাদীস মানতে আমরা বাধ্য। কিন্ত মানুষের লিখা হাদীস মানতে আমরা বাধ্য নয়।

আমরা কেন হাদীস মানতে বাধ্য।

চলুন মানুষের হাতের লিখা গ্রন্থ সম্পর্কে আল্লাহ কি বলে দেখি।

সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে। তারপর বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস। 2:79

নিজে হাতে কিতাব লিখে, তার পর আল্লাহর রাসূলের দোহাই দিয়ে, হাদীস বলে বাজারে বিক্রি করছে। আর কিছু মানুষ না জেনে ওই হাদীস গুলো ক্রয় করে, কি করছে নীচের আয়াতে পড়ুন।

আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা হাদিস ক্রয় করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা-বিদ্রূপ হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব। 31:6

আল্লাহর নাজিল করা সকল হাদীস মানতে আমরা বাধ্য। কিন্ত মানুষের লিখা হাদীস মানতে আমরা বাধ্য নয়।

কুরআনে যে হাদীস গুলো বর্ণনা করা হয়েছে, ওই সকল হাদীস সম্পর্কে আল্লাহ কি বলছে নীচের আয়াতে পড়ুন।

অতএব, তারা যদি সত্যবাদী হয় তবে তার অনুরূপ হাদিস নিয়ে আসুক।52:34

এগুলো আল্লাহর আয়াত, আমি তা যথাযথভাবেই তোমার কাছে তিলাওয়াত করছি। অতএব তারা আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর আর কোন্ হাদিসে বিশ্বাস করবে? 45:6

উপরের আয়াতে যেখানে হাদীস শব্দটি দেখছেন, আরবিতে হাদীস শব্দটি আছে। বাংলা অনুবাদে হাদীস শব্দটি বিকৃত করা হয়েছে।

বল, ‘আমি রাসূলদের মধ্যে নতুন নই। আর আমি জানি না আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে। আমার প্রতি যা ওহী করা হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আর আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’।46:9